পাতা
নামজারী এবং ভূমি উন্নয়ন কর সম্পর্কিত তথ্য
নামজারী বা মিউটেশন:
আইনগতভাবে স্বীকৃত কারণে জমির মালিকনা পরিবর্তন ঘটলে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন মালিকগণের মালিকানা পরিবর্তিত জমির পরিমাণবা অংশ, দাগ নম্বর ইত্যাদি বিষয়
খতিয়ানে প্রতিফলনের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করা হয় তাকে নামজারী,জমিভাগ,জমি একত্রিকরণ, খারিজ বলে।
নিজ নিজএলাকার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করে নামজারী/মিউটেশনকরতে হয়।
নামজারী করার ক্ষেত্রে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজনীয়?
Ø পাসপোর্ট সাইজের ০১ কপি সত্যায়িত ছবি;
Ø এস.এ খতিয়ান এর ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;
Ø আর.এস খতিয়ান/ মাঠ জরিপের পর্চা এর ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;
Ø খারিজ খতিয়ানের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
Ø ওয়ারিশ সনদপত্র(অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত);
Ø মূল দলিলের ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;
Ø বায়া/ পিট দলিলের ফটোকপি/ সার্টিফাইট কপি;
Ø ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা(অবশ্যই দাখিল করতে হবে);
Ø তফসিলে বর্ণিত চৌহদ্দি কলমী নক্সা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
Ø প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আদালতের রায়/ আদেশ/ ডিক্রীর ফটোকপি/ সার্টির্ফাইট কপি;
Ø ডিসিআর ব্যতিত কোন খারিজ খতিয়ান সরবরাহ করা হবেনা।
কী প্রক্রিয়ায় নতুন মালিকের নামজারী সম্পাদিত হয়?
Ø সহকারী কমিশনার (ভূমি)বরাবর সরকার নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়;
Ø আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি এবং অন্যান্য ফি জমা দিতে হয়;
Ø আবেদনপত্র জমাদানের সময় মামলা নং এবং কবে মামলা নিষ্পত্তি হবে তা সংগ্রহ করতে হয়;
Ø তহসিল অফিস কর্তৃক মামলা নথির তদন্ত গ্রহণ এবং নামজারী প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়;
Ø ক্ষেত্র বিশেষে সেটেলমেন্ট অফিসেডকুমেন্ট পাঠানো হয় এবংমতামতগ্রহণ করা হয়;
Ø শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ এবং আবেদনকারীকে নোটিশ প্রদান/ তবে না অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রদান করা হলেও সংশ্লিষ্ট
সকল পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়;
Ø সহকারি কমিশনার(ভূমি) এরউপস্থিতিতে শুনানি গ্রহণ এবং রায় ঘোষণা করা হয় অথবা রায় ঘোষনার তারিখ প্রদান করা হয়;
Ø মামলার রায় নামজারী রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয়;
Ø ইউনিয়ন ভূমি অফিসের রেকর্ড সংশোধন করার জন্য রায়ের কপি পাঠানো হয়;
Ø উপজেলা ভূমি অফিসেররেকর্ড বা খতিয়ান সংশোধন এবং সেটেলমেন্ট অফিসের পর্চাসংশোধনের জন্য কপি পাঠানো হয়;
Ø উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারী মামলার কেস বা নথি ১২ বছর পর্যন্তসংরক্ষণ করা হয়;
নামজারী/মিউটেশন ফি...........
খাত |
ফি (টাকা) |
(১) আবেদন বাবদ কোর্ট ফি |
২০.০০ টাকা |
(২) রেকর্ড সংশোধন ও পর্চা ফি বাবদ |
১০০০.০০ টাকা |
(৩) প্রতি কপি মিউটেশন খতিয়ান ফি |
১০০.০০ টাকা |
(৪) নোপিশ জারি ফি |
৫০.০০ টাকা |
সর্বমোট |
১১৭০.০০ টাকা |
বিঃ দ্রঃ এখানে উল্লেখ্য যে, আবেদন বাবদ ৫.০০ টাকা কোর্ট ফি এর মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট এফ.ডি.সি.আর এর মাধ্যমে জমা দেয়া যেতে পারে। মিউটেশন করার সাথে সাথে একটি খতিয়ানের অনুলিপি অফিস থেকে দেয়া হয়, যাকে মিউটেশন বা খারিজ পর্চা বলে। নামজারি বাবদ উপরোক্ত খরচ ছাড়া অন্য কোন টাকা দেওয়া বা নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধ। |
কত দিনের মধ্যে নামজারী/ মিউটেশন সম্পাদন হয়?
সিটিজেন চার্টার অনুসারে ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) কর্ম দিবসেরমধ্যে নামজারী সম্পাদন করা হবে যদি মালিকানার বিষয় নিয়ে কোন
বিতর্ক না থাকে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আবেদনের সাথে জমা দেয়া হয়।
খতিয়ানের জাবেদা নকল/ সার্টিফাইড কপির জন্য ফি:
ফিসের বিষয় |
সাধারণ |
জরুরী |
(১) প্রতি খতিয়ানে জাবেদা নকলের জন্য কোর্ট ফি (ফোলিওপ্রতি) |
২.০০ টাকা |
- |
(২) সাধারণ কোর্ট ফি: |
১১টাকা |
১৬ টাকা |
ভূমি উন্নয়ন কর/ খাজনা:
সাধারণত যার নামে জমির রেকর্ড সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়। যে এলাকায় জমির অবস্থান সেই এলাকার
ইউনিয়ন ভূমি অফিসে (তহসিল অফিস) ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়।
কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর:
০.০১ থেকে ৮.২৫ একর পর্যন্ত |
২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মওকুফ তবে মালিকানা স্বত্ত্বপ্রমাণের জন্য খতিয়ান প্রতি ২.০০ টাকা দিয়ে দাখিলা নিতে হবেএবং অন্যান্য জমির ক্ষেত্রে খাজনা প্রযোজ্য। |
৮.২৫ একরের উর্ধ্বে হইতে ১০ একর পর্যন্ত |
প্রতি শতাংশ ০.৫০ টাকা হারে |
১০ একরের উর্ধ্বে |
প্রতি শতাংশ ১.০০ টাকা হারে |
অকৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন করঃ
এলাকা |
শিল্প/বাণিজ্যিক ব্যবহৃত জমি (প্রতি শতাংশ) |
আবাসিক বা অন্য কাজে ব্যবহৃত জমি (প্রতি শতাংশ) |
(ক) জেলা সদরের পৌর এলাকা |
২২.০০ (বাইশ)টাকা |
৭.০০ (সাত) টাকা |
(খ) উপজেলা ব্যতীত অন্য এলাকা |
১৫.০০(পনের) টাকা |
৫.০০(পাঁচ) টাকা |
(গ) পৌর এলাকা ঘোষিত হয় নাই এরুপ এলাকা |
১৫.০০ (পনের) টাকা |
৫.০০ (পাঁচ) টাকা |
কেন ভূমি উন্নয়ন কর সময়মত পরিশোধ করবেন?
ভূমি উন্নয়ন কর প্রতি বছর পরিশোধ করতেহয়। পর পর দুই বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলেজমির মালিকের বিরুদ্ধে (পি.ডি.আর এ্যাক্টের আওতায়)
সার্টিফিকেট কেস হবে। এই কেসে হারলে অর্থাৎ ভূমি উন্নয়ন কর না দিতে পারলে জমির অধিকার হারাবেন। ভূমি উন্নয়ন কর বাকী পড়লে জমি নিলামে তোলা হয়।
তথ্য/ সেবা না পেলে কার কাছে অভিযোগ করবেন?
ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এবং সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে তথ্য/সেবা পেতে হয়রানির শিকার হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেলিখিতভাবে জানাবেন/ অভিযোগ করবেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস